ফ্রান্সে বসবাসরত বিভিন্ন দেশের অনিয়মিত অভিবাসীদের নিয়মিত করার চিন্তাভাবনা করছে দেশটির সরকার। এ লক্ষ্যে আগামী বছরের শুরুতে পার্লামেন্টে প্রস্তাব আনা হবে।
গত ২রা নভেম্বর ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিরাল্ড ডারমানা এবং শ্রমমন্ত্রী অলিভিয়ে ডুসোপ প্রথম সারির গণমাধ্যম ‘লো মন্ডে’ পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
প্রবাসের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ
তারা বলেন, ফ্রান্সে কিছু খাতে শ্রমিক সংকট রয়েছে, বিশেষ করে নির্মাণ খাত, কৃষি খাত এবং বৃদ্ধাশ্রম গুলোতে প্রচুর জনবলের প্রয়োজন। এসব খাতগুলোতে অনিয়মিত অভিবাসীদের কাজে লাগিয়ে নিয়মিত করার চিন্তাভাবনা করছে ম্যাক্রন প্রশাসন।
তারা আরো বলেন,বিভিন্ন দেশ থেকে আগত যেসকল আশ্রয়প্রার্থী ফ্রান্সে আশ্রয়ের আবেদন করেন, তাদেরকে প্রাথমিক পর্যায়ে যে, রিসিপিসি ( récépissé) দেওয়া হতো সেখানে কাজ করার কোন অনুমতি থাকতো না।
আগামী বছর থেকে যেসকল আশ্রয়প্রার্থী ফ্রান্সে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করবেন, তাদেরকে প্রাথমিকভাবে যে রিসিপিসি (récépissé) দেওয়া হবে সেখানে যেন কাজ করার অনুমতি দেওয়া যায় সে বিষয়েও চিন্তাভাবনা করছে ম্যাক্রন প্রশাসন।
তারা জানান, এই বিষয়গুলো নিয়ে আগামী জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারি মাসে পার্লামেন্টে প্রস্তাব আনা হবে।
ফ্রান্সে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের অনিয়মিত অভিবাসীরা নিয়মতিকরণের দাবিতে দীর্ঘদিন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছেন। 
অনিয়মিত অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশি সংগঠন ‘সলিডারিটি আজি ফস্’-এর চেয়ারম্যান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফরাসি রাজনীতিবিদ নয়ন এন কে বলেন, অনিয়মিত অভিবাসীদেরকে নিয়মিত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ফ্রান্স যে, একটি মানবাধিকারের দেশ সেটা বিশ্বের দরবারে আরেকবার প্রমাণিত হবে।
আরও পড়তে পারেন :
কানাডা নেবে সাড়ে ১৪ লাখ অভিবাসী
কুয়েত যেতে নতুন প্রবাসী কর্মীদের পরীক্ষা দিতে হবে
২৪ লাখ টাকায় ইতালিতে গিয়ে লাশ হল বাংলাদেশি যুবক
‘ফ্রান্সে বসবাসরত প্রায় বিশ হাজার অনিয়মিত অভিবাসীদের নিয়মিত হওয়ার একটা সুযোগ তৈরি হবে’, তিনি যোগ করেন ।
তিনি জানান, তার সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে অনিয়মিত অভিবাসীদেরকে নিয়মিত করার জন্য শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছে।
প্রবাসের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ
ফ্রান্সে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অনিয়মিত অভিবাসী বৈধতা লাভ করেন ১৯৮১ সালে। ওই বছর ১ লাখ ৩১ হাজার অবৈধ অভিবাসী একসঙ্গে নিয়মিত করা হয়।এরপর ১৯৯৭ সালে ৮০ হাজার বৈধতা পায়। এরপর ২০১৩ সালেও অনিয়মিত অভিবাসীদের নিয়মিতকরণে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
