মাল্টায় আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যান হওয়ার পর ইতালিতে প্রবাসী সাংবাদিক সজীব হোসাইনকে পাঁচ হাজার ইউরো বাংলায় ৬ লাখের বেশি সমপরিমাণ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে মাল্টা সরকার। ৩০ আগস্ট অ্যাডিডাস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তার অ্যাকাউন্টে অর্থ দেওয়া হয়।
প্রবাসী সাংবাদিক সজীব নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, নির্যাতিত সাংবাদিক সজীব হোসাইনের আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাঁচ হাজার ইউরো দিয়েছে মাল্টা সরকার। গত ২০ ডিসেম্বর এ নির্দেশ দিয়েছেন ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত (ইসিএইচআর)।
সজীব হোসাইন দুবাই ঘুরে লিবিয়া হয়ে ২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মাল্টায় এসে পৌঁছান। সেখানে তিনি আশ্রয় আবেদন করেন সাংবাদিক হিসেবে। ওই সময় তার আবেদন গ্রহণ না করে মাল্টা ডিটেনশন সেন্টারে ২২ মাস আটকে রাখে তার সঙ্গে থাকা মরক্কো, মিশর, বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে ডিটেনশন সেন্টারে প্রায় ১৯০ জন বাংলাদেশি নাগরিকের মধ্যে ২০২১ সালের বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সকালে এনজিও প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ইউরোপীয় মানবধিকার আদালত থেকে ডক্টর অ্যালেক্সিস গাল্যান্ড ও ডক্টর ক্লেয়ার ডেলমের সর্বোচ্চ চেষ্টায় সুরক্ষা পান তিনি।
ইউরোপিয়ান মানবাধিকার আদালতে সজীব হোসাইনের প্রতিনিধিত্ব করেন ডক্টর এন.ফলজন। সরকারের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন ড. সি. সোলার ও ড. জে.ভেলা। ইসিএইচআরের রায়ে বলা হয়, যথাযথ বিচারিক পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে আগামী ৩ মাসের মধ্যে তাকে পাঁচ হাজার ইউরো ক্ষতিপূরণ দিতে মাল্টা সরকারকে নির্দেশ দেন।
এ প্রসঙ্গে সজীব বলেন, আমি প্রথমে ধন্যবাদ জানাচ্ছি অ্যাডিডাস ফাউন্ডেশনের সকল আইনজীবীদের। কারণ তারা যদি আমাকে আইনি সহযোগিতা না করতো তাহলে অন্যদের মতো আমাকেও আজ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হত। তাদের ঋণ আমি কোনোদিন শোধ করতে পারবো না। আজকের এই খুশির দিনে আমার পরিবারের পরে সবচেয়ে বেশি ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার মামাদের। তারা প্রতি মুহূর্তে আমাকে সহযোগিতা করেছেন।
প্রবাসের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ