২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসে (প্রথম প্রান্তিক) সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিমান সংস্থা ইতিহাদ এয়ারওয়েজ ৬৮৫ মিলিয়ন দিরহাম (প্রায় ১৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) মুনাফা করেছে।
গত বছরের তুলনায় এটি ৩০% বেশি। এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে যাত্রীদের চাহিদা বৃদ্ধি এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনা।
এই সময়ে এয়ারলাইন্সটির মোট আয় ১৫% বেড়েছে। এর কারণ হলো আরও বেশি ফ্লাইট চালু করা, গন্তব্য বাড়ানো এবং নিয়মিত ও উন্নত পরিষেবা দেওয়া।
প্রথম প্রান্তিকে যাত্রী পরিবহন থেকে আয় হয়েছে ৫.৫ বিলিয়ন দিরহাম (প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার), যা আগের বছরের তুলনায় ১৬% বেশি। পণ্য পরিবহন থেকেও আয় বেড়েছে ৮% এবং হয়েছে ৯৫৮ মিলিয়ন দিরহাম (প্রায় ২৬১ মিলিয়ন ডলার)।
এই সময়ে ৫০ লক্ষ যাত্রী ভ্রমণ করেছে ইতিহাদের বিমানে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৬% বেশি। যাত্রী ধারণক্ষমতা (লোড ফ্যাক্টর) ৮৭% ছিল, যেখানে আগের বছর তা ছিল ৮৬%।
বিমান সংস্থাটি তাদের উড়োজাহাজ সংখ্যা ৮৯ থেকে বাড়িয়ে ৯৮ করেছে এবং নতুন চারটি গন্তব্য যুক্ত করেছে, যার ফলে মোট গন্তব্য এখন ৮০টি। এছাড়া নতুন ৬৫০ জন কেবিন ক্রু এবং ৭০ জন পাইলট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
গ্রাহক সন্তুষ্টির ক্ষেত্রেও রেকর্ড দেখা গেছে — স্কোর ২০% বেড়েছে। চেক-ইন, বোর্ডিং, খাবার, ওয়াই-ফাই এবং মোবাইল অ্যাপসহ সব পরিষেবায় উন্নতি এসেছে। নতুন লাউঞ্জ, ইনফ্লাইট মেনু এবং উন্নত সেবাও চালু করা হয়েছে।
ইতিহাদ এয়ারওয়েজের সিইও আন্তোনোয়াল্ডো নেভস বলেন, “আমরা খুবই গর্বিত যে, ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে সর্বোচ্চ লাভ এবং গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জন করতে পেরেছি। এটি আমাদের টিমের কঠোর পরিশ্রম ও পেশাদারিত্বেরই ফল।”
এই ফলাফল ইঙ্গিত দিচ্ছে, ইতিহাদ এখন একটি স্থিতিশীল অবস্থানে রয়েছে, যেখানে ব্যবসার পাশাপাশি যাত্রী অভিজ্ঞতার উন্নয়নেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ