সুইডেনের ৬০ ‘অপরাধ জোন’ : দায়িত্বরত পুলিশের এক-তৃতীয়াংশই মনোরোগী
সুইডেনে বর্তমানে অপরাধপ্রবণ, বেকারত্ব এবং উচ্চ অভিবাসী জনসংখ্যা সম্বলিত ৬০টি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। ওইসব এলাকাকে ‘নো গো জোন’ বা যাওয়ার মতো এলাকা নয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
সেসব জায়গায় জরুরি পরিষেবা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর লোকজনও কখনো কখনো অপরাধী চক্র দ্বারা আক্রান্ত হয়।
জানা গেছে, নো গো জোনে কর্মরত এক-তৃতীয়াংশ পুলিশ কর্মকর্তা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। এছাড়া মানসিক অবসাদ এবং বেজায় বিরক্ত তারা। উমিয়া ইউনিভার্সিটি সম্প্রতি এক সমীক্ষায় এ ফল পেয়েছে।
গবেষক জোনাস হ্যানসন বলেছেন, এটা বড় ধরনের সমস্যা। শুধু পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য এটা সমস্যা নয়। পুরো সমাজের জন্যই সমস্যা। কারণ পুলিশ তাদের কাজ কতটা ভালোভাবে করে তার প্রভাব সমাজে পড়ে।
তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন পরিষেবা পুলিশ কর্মকর্তারা কী ধরনের আচরণের মাধ্যমে দেবেন, তার একটা কাঠামো নির্ধারণ থাকা দরকার। সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে সম্পর্ক বৈরী হলে আস্থা তৈরি হবে না।
পুলিশকে জনগণের আস্থা তৈরি করতে সক্ষম হতে হবে। আর এজন্য তাদের মানসিক ভারসাম্য অনেক ভালো মানের থাকা দরকার।
জানা গেছে, নিজেদের সহকর্মীদের মানসিক অবস্থার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পুলিশ ইউনিয়ন।
সুইডিশ পুলিশ কনফেডারেশনের প্রধান লিনা নিটজ বলেছেন, অনেকেই পদত্যাগ করার কথা ভাবছেন এবং আমাদের প্রত্যেক পুলিশ কর্মকর্তাকে দরকার। আরো অনেকে চাকরি ছেড়ে যাওয়ার শঙ্কা আছে। এ ঘটনায় আমি উদ্বিগ্ন। সূত্র: স্পুটনিক।