যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাফেলো এলাকায় সময় সড়ক দুর্ঘটনায় এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন।
নিহত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সানি দেওয়ান (১৯) বাফেলো ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে অধ্যয়ন করছিলেন এবং হ্যাজেলউড এলাকায় বসবাস করতেন। সানি ‘চুরি করা’ গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন—এমন দাবি পুলিশ করলেও তা মানতে নারাজ তার পরিবার।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে স্টেট রুট ২০-তে ঘটনাটি ঘটে। টহল পুলিশের থামার নির্দেশ অমান্য করে দ্রুতগতিতে পালানোর সময় সানির চালানো গাড়ির সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি গাড়ির সংঘর্ষ হয়।
দুর্ঘটনার পর সানির গাড়িতে আগুন ধরে যায় এবং সেটি সড়কের পাশের একটি খালে পড়ে যায়।
ওয়ারশো পুলিশ জানায়, পথচারীদের সহায়তায় আগুনে পুড়ে যাওয়া গাড়ি থেকে সানি দেওয়ানকে উদ্ধার করে ওয়াইওমিং কাউন্টি কমিউনিটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থলেই মারা যান অপর গাড়ির যাত্রী, ল্যানকাস্টারের বাসিন্দা ডেনিয়েল অ্যাবোট (৪৮)। আহত গাড়িচালক জেমস স্ট্যাবেলওয়াস্কি (৪৮) বর্তমানে অ্যারি কাউন্টি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ আরও জানায়, সানি যে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন, সেটি নিউ ইয়র্ক সিটির লং আইল্যান্ডের নাসাউ কাউন্টি থেকে চুরি হয়েছিল।
নিহত সানি দেওয়ান নিউ ইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টারের বাসিন্দা ফারুক আহমেদের একমাত্র ছেলে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
রোববার বাফেলোর ফিল্মোর অ্যাভিনিউর মুসলিম সেন্টারে সানির প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন সকালে দ্বিতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
তদন্তাধীন এই ঘটনায় সানি যে ‘চুরি করা’ গাড়ি চালাচ্ছিলেন—এমন দাবি পুলিশ করলেও তা মানতে নারাজ তার পরিবার ও স্বজনেরা।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ওয়ারশো পুলিশ জানায়, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু জানানো সম্ভব নয়। তদন্ত পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন নিউ ইয়র্ক স্টেটের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশা জেমস।
সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ