মিশরে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের গর্বিত অর্জন
প্রথম স্থানসহ পাঁচজন বিজয়ী
মিশরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত হলো আল-আজহার ইসলামিক রিসার্চ একাডেমির আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা “সাকাফাতু বিলাদি” (ثقافة بلادي), যার অর্থ “আমার দেশের সংস্কৃতি”। এই আয়োজনে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের পাঁচজন শিক্ষার্থী বিজয়ী হয়েছেন, যার মধ্যে একজন অর্জন করেছেন প্রথম স্থান।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় ভাষা, দেশীয় সংস্কৃতি, অঙ্কন ও প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষতা উপস্থাপনের মাধ্যমে বিজয়ীদের নির্বাচন করা হয়। আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা ও সৃজনশীলতায় নজর কেড়েছেন সবার।
বাংলাদেশি বিজয়ীদের মধ্যে ময়মনসিংহের মুহাম্মদ মারুফ প্রথম স্থান অর্জন করে পেয়েছেন ২৫ হাজার মিশরীয় পাউন্ড।
এছাড়া ঢাকার মোর্তজা হাসান ও ইনজামুল হক রাফি চতুর্থ স্থান পেয়ে পেয়েছেন ৭ হাজার পাউন্ড করে, আর পঞ্চম স্থান অর্জন করেছেন মোহাম্মদ শাব্বীর আহমদ গোফরান ও মাসুম বিল্লাহ গুলজার, তারা পেয়েছেন ৫ হাজার পাউন্ড করে।
নগদ অর্থ ছাড়াও বিজয়ীরা পেয়েছেন ভ্রমণ ও পর্যটন শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ এবং গবেষণাধর্মী গ্রন্থ উপহার।
এই প্রতিযোগিতায় প্রতিটি দলে একজন মিশরীয় ও একজন বিদেশি শিক্ষার্থী মিলে গঠিত হয় দ্বৈত দল। তারা ঐতিহ্যবাহী উপস্থাপনা, প্রযুক্তিভিত্তিক ধারণা, পর্যটন ভাবনা এবং তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিজেদের সেরা প্রমাণ করার সুযোগ পান।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা উপস্থাপনা, গবেষণা ও সাংস্কৃতিক জ্ঞানে বিচারকদের মন জয় করেন, যার ফলে তারা চূড়ান্ত তালিকায় জায়গা করে নেন।
আল-আজহারের গ্র্যান্ড ইমাম শেখ মুহাম্মদ আল-তাইয়্যিব এবং প্রকল্প পরিচালক ড. মুহাম্মদ আল-জেন্ডি পুরো প্রতিযোগিতাটি তত্ত্বাবধান করেন। বিচারক ছিলেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শিক্ষাবিদ, ভাষাবিদ, প্রযুক্তিবিদ ও সংস্কৃতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা।
ড. ইলহাম শাহিন, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের উপ-মহাসচিব জানান, প্রতিযোগিতায় মোট পুরস্কার ছিল ৩ লাখ ৭০ হাজার মিশরীয় পাউন্ড। এর মধ্যে প্রথম পুরস্কারপ্রাপ্ত পাঁচজন পেয়েছেন ২৫ হাজার পাউন্ড করে, দ্বিতীয় স্থানপ্রাপ্তরা ২০ হাজার, তৃতীয় স্থানপ্রাপ্তরা ১০ হাজার, চতুর্থ স্থানপ্রাপ্ত ৬ জন পেয়েছেন ৭ হাজার করে এবং পঞ্চম স্থানপ্রাপ্ত পাঁচজন পেয়েছেন ৫ হাজার পাউন্ড করে।
এমন অর্জনে মিশরে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে বইছে আনন্দের ঢেউ। গর্বে উদ্ভাসিত আল-আজহারে অধ্যয়নরত অন্যান্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও।
বাংলাদেশ কমিউনিটি সংগঠকদের অভিমত, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের এই অর্জন শুধু ব্যক্তিগত নয়—এটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের মেধা, সংস্কৃতি ও পরিচয় তুলে ধরার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ