ভিয়েতনামে স্বেচ্ছায় রক্তদানে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ বাংলাদেশ দূতাবাসের

ভিয়েতনামে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন এবং জন্মশত বার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর অবিস্মরনীয় আত্মত্যাগকে স্মরণ করে রাখতে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির মতো ব্যতিক্রমী ও মহতী আয়োজন করে বাংলাদেশ দূতাবাস।

রবিবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানী হ্যানয়ে কেন্দ্রীয় আর্মি হাসপাতালে ভিয়েতনাম সরকারের সহায়তায় আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচির সূচনা করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ।

song hong group এর চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্ট চং দোসহ ভিয়েতনামের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মসূচিতে অংশ নেন।

Travelion – Mobile

অনুষ্ঠানে ভিয়েতনামের মিলিটারি হাসপাতালেরউপ-পরিচালক এমন সহতী আয়োজনের জন্য রাষ্ট্রদূতকে বিশেষ ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, রক্তদান একটি মহৎ মানবিক কাজ ।এ কাজে এগিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক যেমন আরো গভীর হবে, তেমনি স্বেচ্ছায় সংগৃহীত রক্ত অনেক পীড়িত ও অসহায় মানুষকে সহায়তা করবে।

স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে  ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ
স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ

এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন ও দেশ গঠনে যে অবিস্মরণীয় নেতৃত্ব ও অবদান রেখেছেন, স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে এই মহান নেতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছে বাংলাদেশ দূতাবাস । এই কর্মসূচি বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের একটি নিদর্শন হিসেবেও উল্লেখ্য।

অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছায় রক্তদানকারীদের মুজিব বর্ষের লোগো সম্বলিত স্যুভেনির মগ উপহার দেয়া হয় এবং আপ্যায়ন করা হয়।

এর আগে রাজধানী হ্যানয়ে চ্যান্সারি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটির সূচনা করেন রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ। এ সময় বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যগণ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

আলোচনা পর্বে শুরুতে দিবসটি উপলক্ষ্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনান দূতাবাস কর্মকর্তারা।

রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে শুরুতে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন।

বাংলাদেশের ইতিহাসে এ দিবসের তাৎপর্য তুলে তিনি বলেন জাতির পিতা পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালী জাতির মুক্তির জন্য দীর্ঘ ২৪ বছর সংগ্রাম করেছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম সকল ক্ষেত্রেই তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসুরী তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার গত ১২ বছরে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ এবং ইতোমধ্যে যে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল । ২০৩০ সালের মধ্যে ’টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট’ অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!