ভিয়েতনামে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদযাপন

মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় উদযাপন করেছে ভিয়েতনামে বাংলাদেশ দূতাবাস।

শনিবার (৮ আগষ্ট) রাজধানী হ্যানয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের হল রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে ছিল জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও পরিবারের অন্যান্য শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা, বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, এই উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ এবং আলোচনা সভা।

স্মরণ সভায় ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই মহিয়সী নারীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বাঙালির অহংকার, নারী সমাজের প্রেরণার উৎস। শৈশব থেকেই তিনি ছিলেন সাহসী ও দৃঢ়চেতা। তিনি কেবল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণীই ছিলেন না, বাঙালির মুক্তিসংগ্রামেও তিনি ছিলেন অন্যতম কান্ডারী। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের নেপথ্যেও প্রধান প্রেরণাদাত্রী ছিলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব।

Travelion – Mobile

রাষ্ট্রদূত আরাে বলেন, “বঙ্গমাতা ছিলেন নির্লোভ, নিরহংকার ও পরােপকারী। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পত্নী হয়েও তিনি সবসময় সাদামাটা জীবনযাপন করতেন। তিনি ছিলেন আদর্শ বাঙালি নারী প্রতিকৃতি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট কালরাতে স্বামী-পুত্র-পুত্রবধূসহ নিকট আত্মীয়ের সাথে তিনি ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে স্বাধীনতাবিরােধী ঘাতকচক্রের হাতে নিহত হন। তিনি আরাে বলেন, বঙ্গমাতা যে আদর্শ ও দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা যুগে যুগে বাঙালি নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।”

আলােচনা শেষে বঙ্গমাতার কর্মময় জীবনের উপর একটি প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শেষে শিশু ও কিশােরদের উপস্থিতিতে কেক কেটে দিবসটি পালন করা হয়। উল্লেখ্য যে, ভিয়েতনাম সরকার কর্তৃক কোভিড মহামারীর সতর্কতার জন্য দিবসটি দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পরিবারবর্গ-এর মাধ্যমে ইন-হাউজ’ উযাপিত হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!