ভারতে বিমান বিধ্বস্ত : ওড়ার পরই ‘মে ডে কল’ পাঠানো হয় এটিসি-কে, তার পরই দুর্ঘটনা : ভিডিও
ভারতের আহমদাবাদে বিমান বিধ্বস্তের আগে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-কে বিপদাবার্তা পাঠিয়েছিল (মে ডে কল)। ফ্লাইটরাডা২৪-এর তথ্য অনুযায়ী, পাইলটের কাছ থেকে বিপদবার্তা পেয়ে এটিসি যোগাযোগের চেষ্টা করে। কিন্তু আর যোগাযোগ করা যায়নি। তার পরই বিমান বিধ্বস্তের খবর জানা যায়।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে আহমদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-১৭১ বিমানটি। বিমানটি রানওয়ে ২৩ থেকে ওড়ার এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এটিসি-র সঙ্গে। ফ্লাইটরাডার২৪-এর তথ্য অনুযায়ী, ভেঙে পড়ার আগে বিমানটি মাটি থেকে ৬২৫ ফুট উচ্চতায় ছিল। সেটি দ্রুতগতিতে নীচের দিকে নেমে আসতে শুরু করে। তার পরই সেটি মেঘানিনগরের কাছে বসতি এলাকায় ভেঙে পড়ে।
ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ডিজিসিএ) জানিয়েছে, দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে বিমানটি রানওয়ে ছাড়ার পর পরই এটিসিকে ‘মে ডে কল’ করেন পাইলট। কিন্তু বিমানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও আর জবাব পাওয়া যায়নি।
ফ্লাইটরাডার২৪-এর তথ্য বলছে, যে বিমানটি ভেঙে পড়ছে সেটি ভিটি-এএনবি। বিমানটি এ দিনই দিল্লি থেকে অহমদাবাদে আসে। তার পর সেটি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। কিন্তু তার আগেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বিমানটিতে মোট ২৪২ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ২৩২ জন যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু সদস্য।
বিমান পরিষেবার পরিভাষায় ‘মে ডে কল’কে ‘বিপদসঙ্কেত’ বলা হয়। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে পাইলট যখন কোনও বিপদের আঁচ পান, তখন এই শব্দবন্ধটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফরাসি শব্দ ‘মেইডার’ থেকে ‘মে ডে’ শব্দটি এসেছে। যার অর্থ ‘আমাকে সাহায্য করুন’। সাধারণত এটিসি এবং ওই এটিসি-র আওতায় থাকা আকাশপথে কোনও বিমানের মধ্যে রেডিয়ো যোগাযোগকে ‘মে ডে কল’ বলে। এই শব্দবন্ধের মাধ্যমে দ্রুত সাহায্যের বার্তা পাঠানো হয়।
সূত্র :এনডিটিভি
সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ