ব্রাজিলে বহুজাতিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মাতৃভাষা দিবস পালন
ব্রাজিলে ইউনেস্কো ও ব্রাসিলিয়া সরকারের সহযোগিতায় ওয়েবিনার এবং বর্ণাঢ্য বহুজাতিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস ।
একুশের সকালে রাজধানী ব্রাসিলিয়া দূতাবাসে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্ণার হতে পরিচালিত ওয়েবিনারে ইউনেস্কো-ব্রাজিলের স্থায়ী প্রতিনিধি মারলোভা জে নোলিতো,আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পুরষ্কার বিজয়ী ‘গ্লোবাল ভয়েস’র পরিচালক এডি আভিলা, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) শাব্বির আহমদ চৌধুরী এবং ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা ও ডিফেন্স অ্যাটাশে কমোডর মিসবাহ ডিফেন্স অ্যাটাশে কমোডর মিসবাহ বক্তব্য রাখেন। ওয়েবিনার সঞ্চালনা করেন সামিনা ইশরাত রুনি।

সাংস্কৃতিক পর্বে বাংলাদেশের উপস্থাপনায় “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি”, “আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি”-এর সাথে নৃত্য ছাড়াও ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, কিউবা, মিসর এবং জ্যামাইকার সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনলাইনে প্রায় ছয় শতাধিক মানুষ উপভোগ করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল ১১ ভিন্ন ভাষার শিশুদের নিজ নিজ মাতৃভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করে দেয়া ছোট ছোট বক্তব্য।
বিপুল সংখ্যক ব্রাজিলিয়ান ছাড়াও বিশ্বের সকল মহাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। ব্রাজিলের বেশ কয়েকটি অনলাইনভিত্তিক নিউজ পোর্টালে অনুষ্ঠানটির প্রচারণা ছিল উল্লেখযোগ্য।
এর আগে একুশের সকালে রাজধানী ব্রাসিলিয়া জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে সূচিত অনুষ্ঠানের সূচনা করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা।
শুরুতেই মহান ভাষা আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর দূতাবাস পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে রাষ্ট্রদূত দূতাবাসে স্থাপিত শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
দূতাবাসের হলে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আলোচনার শুরুতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচনা সভায়, রাষ্ট্রদূত মহান ভাষা আন্দোলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা সশ্রদ্ধ চিত্ত্বে স্মরণ করেন।