ভারতের আমদাবাদে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৪২ জন যাত্রী, যাঁদের মধ্যে ছিলেন চিকিৎসক ও স্থানীয় বাসিন্দারাও। এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকাহত ভারতসহ গোটা বিশ্ব। ঠিক এই সময়েই এক জ্যোতিষীর টুইট নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।
‘শর্মিষ্ঠা’ নামের এক বৈদিক জ্যোতিষী দাবি করেছেন, তিনি আগে থেকেই এমন দুর্ঘটনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। দুর্ঘটনার দিনই তিনি ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার)-এ লেখেন, “আজ আমদাবাদ এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় এতগুলো প্রাণ চলে গেল, খুব দুঃখজনক। জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, বৃশ্চিক রাশির অর্ধ্রায় বৃহস্পতি প্রবেশ করেনি, ভারতের মঙ্গল মহাদশাও শুরু হয়নি, তবু এত কিছু ঘটে যাচ্ছে। আমি সকলের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছি না, ক্ষমা করবেন। ওঁ শান্তি।”
এই পোস্টের পরই শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। নেটিজেনরা প্রশ্ন তোলেন, “এত মানুষের মৃত্যুতে আপনি জ্যোতিষ দিয়ে নিজের ভবিষ্যদ্বাণীকে প্রমাণ করতে চাইছেন?” কেউ কেউ লেখেন, “এটা সহানুভূতির সময়, নিজের প্রচার নয়।”
জ্যোতিষী শর্মিষ্ঠা পরে আরও একটি পুরনো টুইট শেয়ার করেন, যা তিনি করেছিলেন ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে। তাতে তিনি লিখেছিলেন, “২০২৫ সালে বিমান পরিবহণে উন্নতি হলেও কিছু দুর্ঘটনা দুঃখজনক চমক দিতে পারে। বৃহস্পতি যখন মৃগশিরা ও অর্ধ্রা নক্ষত্রে থাকবে, তখন নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যা হতে পারে।”
আরও একটি টুইটে, ৫ জুন তিনি লিখেছিলেন—“বিমান শিল্পে বৃদ্ধি আসবে, তবে ধ্বংসও হাতছানি দিচ্ছে।” এই শব্দচয়ন নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন, অনেকেই বলছেন—এগুলো কি শুধু ভয় ছড়ানোর চেষ্টা?
নেটমাধ্যমে এক জন ব্যবহারকারী কড়া ভাষায় লেখেন, “সব মানুষ এক রকম কুণ্ডলী নিয়ে জন্মায় না। জ্যোতিষ বিজ্ঞানের নয়, বিভ্রান্তির নাম।” আরও একজন মন্তব্য করেন, “শোকের মুহূর্তে এমন ‘আমি আগেই বলেছিলাম’ ধাঁচের পোস্ট খুবই অমানবিক।”
তবে, দেশে এখনও অনেকে আছেন যারা জ্যোতিষে বিশ্বাস করেন। কিন্তু অধিকাংশ নেটিজেনের মতে, “এমন দুঃখজনক সময়ে একটু মানবিক হওয়াই কাম্য। সব কিছুর ব্যাখ্যা গ্রহ-নক্ষত্র দিয়ে না খুঁজলেও চলে।”
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শর্মিষ্ঠা আর কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি, তবে তাঁর পোস্ট ঘিরে বিতর্ক যেন থামছেই না।
সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ


