বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের সংবর্ধনায় যোগ দেন মরিশাসের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট

যথাযোগ্য মর্যাদা আর ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় মরিশাসপ্রবাসী বাংলাদেশিরা উদযাপন করে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস । আর এ উপলক্ষে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়ােজিত সংবর্ধনায় দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট প্রামাসিভাম পিলে ভায়াপুরী জিওএসকে যোগদান বাংলাদেশ কমিউনিটির মাঝে আনন্দ বয়ে যায়। ।

দিবসটি বাংলাদেশ হাইকমিশনের দিনব্যাপি কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শুদ্ধস্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।

রাজধানী পোর্ট লুইসে হাইকমিশনে চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলননের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শিশু-কিশোর সমাবেশে গাওয়া জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সমন্বয় করে হাইকমিশন শুদ্ধস্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। বাংলাদেশ সময়ের সঙ্গে মিল রেখে স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় প্রায় আড়াই শ প্রবাসী কর্মী ও মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সবাইকে নিয়ে শুদ্ধস্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। পরে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পড়া হয়।বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের সংবর্ধনায় যোগ দেন মরিশাসের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট 1

Travelion – Mobile
Diamond-Cement-mobile

সন্ধ্যায় বালাক্লাবায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল রিসোর্টে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট প্রামাসিভাম পিলে ভায়াপুরী জিওএসকে। বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী নন্দকুমার বোদা। অনুষ্ঠানের শুরুতে মরিশাসের রাষ্ট্রাচার অনুযায়ী প্রথমে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের মঙ্গল কামনায় টোস্ট করেন। এ সময় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। এরপর হাইকমিশনার মরিশাসের প্রেসিডেন্ট ও জনগণের মঙ্গল কামনায় টোস্ট করেন। এ সময় মরিশাসের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়।

শুদ্ধস্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনা

হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সব শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ভিশন ২০২১ ও ভিশন ২০৪১-এর উদ্দেশ্যগুলো তুলে ধরেন। এ ছাড়া তিনি বিগত এক দশকে বাংলাদেশের উন্নয়নের সব নির্দেশক বিশেষভাবে তুলে ধরেন এবং বর্তমান সরকারের উন্নয়নের অভিযাত্রায় সম্পৃক্ত দেশি-বিদেশি সবার সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ওপর নির্মিত একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। উপস্থিত অতিথিদের তা মোহিত ও মুগ্ধ করে। বাংলাদেশকে নতুনরূপে দেখে উপস্থিত অতিথিরা বিস্ময় প্রকাশ করেন। এ ছাড়া স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে হাইকমিশনার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ও ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে কেক কাটেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেশটির সংসদ সদস্য, মিশনপ্রধান ও মিশনের প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের প্রধান, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন। এ উপলক্ষে স্থানীয় টিভি চ্যানেল এমবিসি হাইকমিশনের সাক্ষাৎকার প্রচার করে।
অনুষ্ঠানে সবাইকে বাংলাদেশ ও মরিশাসের খাবারের মাধ্যমে আপ্যায়িত করা হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!