বাংলাদেশের সহায়তার জন্য মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতির কৃতজ্ঞতা

বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ

পারস্পরিক স্বার্থের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ড. মোহাম্মদ মুইজ্জু। দেশটিতে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. মো. নাজমুল ইসলামের পরিচয়পত্র গ্রহণকালে রাষ্ট্রপতি এ অনুভূতি প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, উচ্চশিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সবসময় মালদ্বীপকে সহায়তা করেছে।

বন্ধুপ্রতিম দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে মালদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী দিনে দুই দেশের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগও বৃদ্ধি পাবে।

Travelion – Mobile

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) স্থানীয় সময় দুপুরে রাজধানী মালেতে প্রেসিডেন্ট প্যালেসে হাইকমিশনার নাজমুল ইসলামকে গার্ড অব অনার ও মনোজ্ঞ বেরু ধুম্মারি শোভাযাত্রার (সাংস্কৃতিক শোভাযাত্রা) মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়। পরে তিনি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং পরিচয়পত্র পেশ করেন।

সাক্ষাতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় কৃষি, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়নসহ নতুন ক্ষেত্রেও সহযোগিতার সুযোগ খুঁজে বের করার বিষয়ে মতবিনিময় হয়।

Diamond-Cement-mobile

হাইকমিশনার মালদ্বীপে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, এ শ্রমশক্তি দুই দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এ সময় রাষ্ট্রপতি মুইজ্জুকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন হাইকমিশনার এবং সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় ১৯৭৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর।

প্রসঙ্গত, নবনিযুক্ত হাইকমিশনার ড. মো. নাজমুল ইসলাম এক দশকেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ ও সংসদীয় কূটনীতিক। মালদ্বীপে যোগদানের আগে তিনি তুরস্কের জাতীয় সংসদ (টিবিএমএম)-এ উপদেষ্টা এবং সংসদীয় কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন সার্ভিস ইনস্টিটিউট (এফএসআই)-এ কূটনীতিকদের প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি আঙ্কারা ইলদিরিম বায়েজিদ বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক ও ইনস্টিটিউট প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক তত্ত্ব ও কৌশলগত গবেষণায় তাঁর রয়েছে বিশেষ পাণ্ডিত্য। বিশেষত “পশ্চিমা বিশ্বের বাইরে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক তত্ত্ব ও সফট পাওয়ার কৌশল” নিয়ে তিনি ব্যাপক গবেষণা করেছেন। তাঁর এই বহুমুখী অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও সুসংহত ও কৌশলগতভাবে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

এভিয়েশন, পর্যটন আর প্রবাসের সব খবর পেতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!