বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও গভীর করতে আগ্রহী লেবানন : প্রেসিডেন্ট আউন
লেবাননের প্রেসিডেন্ট জেনারেল জোসেফ আউন বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও গভীর করা এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা শক্তিশালী করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
বুধবার (৭ মে) রাজধানী বৈরুতে প্রেসিডেন্ট ভবনে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মুহাম্মদ যুবায়ের সালেহীন তাঁর আনুষ্ঠানিক পরিচয়পত্র পেশকালে এ আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রেসিডেন্ট আউন বলেন, “বাংলাদেশ সবসময় আমাদের পাশে থেকেছে, বিশেষ করে ২০২০ সালের বৈরুত বন্দর বিস্ফোরণের সময় মানবিক সহায়তা দিয়ে বন্ধুত্বের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশি সেনাদের অবদান আমাদের দেশে প্রশংসিত ও স্মরণীয়। আমরা বাংলাদেশকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে মনে রাখি।”
তিনি আরও বলেন,”বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। ১৯৭৫ সালে লেবাননের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির পর থেকেই দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, যা সময়ের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। আমরা এই সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে প্রস্তুত।”
তিনি রাষ্ট্রদূতকে তাঁর কূটনৈতিক দায়িত্ব পালনে লেবানন সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট আউনকে আন্তরিক শুভেচ্ছা শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত সালেহীন বলেন, “দুই দেশের বন্ধুত্ব কেবল কূটনৈতিক সৌজন্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং শান্তিরক্ষায় সহযাত্রা, শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং মানবিক সহায়তার মধ্য দিয়ে এ সম্পর্ক বারবার প্রমাণিত হয়েছে। জাতিসংঘ শান্তি রক্ষী মিশনে (ইউনিফিল) আমাদের শান্তিরক্ষীদের উপস্থিতি সেই বন্ধনের প্রতীক।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান অর্ন্তবর্তী সরকার লেবাননের সঙ্গে বহুমাত্রিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে আগ্রহী। দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক কল্যাণে আমরা একসাথে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
রাষ্ট্রদূত ভবিষ্যতে বাংলাদেশ-লেবানন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও বিস্তৃত ও অর্থবহ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউসুফ রাজি এবং দেশটির রাষ্ট্রপতি কার্যালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাvf উপস্থিত ছিলেন।
সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ