বাংলাদেশি রোগী ও শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন উদ্যোগ মালয়েশিয়ায়
বাংলাদেশি রোগী আর শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর—এখন থেকে মালয়েশিয়ার নামী হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নেওয়া হবে আরও সহজ ও ঝামেলামুক্ত, সব ব্যবস্থা থাকবে এক ছাতার নিচে। আর বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হতে পারবেন আরও সহজে ।
আর এই সব ব্যবস্থা করেছে এক্সপ্যাট ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিজম। এ লক্ষ্য প্রতিষ্ঠানটি মালয়েশিয়ার শীর্ষস্থানীয় হাসপাতাল, বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় এবং পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) কুয়ালালামপুরের এক হোটেলে আয়োজিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ছিলেন মালয়েশিয়ার পর্যটন উপমন্ত্রী দাতুক খাইরুল ফিরদাউস আকবর খান, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের প্রথম সচিব (বাণিজ্য) প্রণব কুমার ঘোষ, এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও অতিথিরা।
এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশের রোগীরা এখন থেকে মালয়েশিয়ার নামকরা হাসপাতালগুলোতে সহজেই চিকিৎসা নিতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে— জোহর মেডিকেল গ্রুপ (কেপিজে), কেএল ফার্টিলিটি সেন্টার, প্রিন্স কোর্ট মেডিকেল সেন্টারসহ আরও কয়েকটি নামী প্রতিষ্ঠান।
এক্সপ্যাট ট্রাভেল ও টুরিজম রোগীদের জন্য এক ছাতার নিচে দেবে ভিসা সহায়তা, হাসপাতালে যোগাযোগ, থাকার ব্যবস্থা ও চিকিৎসা-পরবর্তী যত্নের সেবা।
চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আরও সহজে ভর্তি হতে পারবেন। এক্সপ্যাট এডুকেশন সার্ভিস শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া, তথ্য যাচাই ও পরামর্শ সহায়তা দেবে।
মালয়েশিয়ার নিরাপদ ও আধুনিক পরিবেশে আন্তর্জাতিকমানের ডিগ্রির পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা চাকরির সুযোগও পাবেন, যা বাংলাদেশের তরুণদের গ্লোবাল প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে।
ইএসকেএল (Expat Service Kuala Lumpur)-এর সিইও গিয়াস আহমদ বলেন, “আমরা মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে একটি বিশ্বাসের সেতু তৈরি করছি। প্রতিটি রোগী ও শিক্ষার্থী যেন পেশাদার ও সহানুভূতিশীল সেবা পান, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।”
তিনি আরও যোগ করেন, “এটি শুধু ব্যবসা নয়—এটি দুই দেশের মানুষকে আরও কাছাকাছি আনার মানবিক উদ্যোগ।”
অনুষ্ঠানের বক্তারা বলেন, এই এমওইউ শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিই নয়, বরং দুই দেশের জনগণের বন্ধুত্ব ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথ তৈরি করবে।
উপমন্ত্রী বলেন, “মালয়েশিয়া সরকার সবসময় আন্তর্জাতিক সহযোগিতাকে গুরুত্ব দেয়। এই চুক্তি দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করবে এবং নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে।”
তিনি জানান, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ২ লাখ ২ হাজারের বেশি বাংলাদেশি মালয়েশিয়া ভ্রমণ করেছেন, যা গত বছরের তুলনায় ১২৭ শতাংশ বেশি। এটি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উপমন্ত্রী দাতুক খাইরুল ফিরদাউস বলেন, “চলুন, আমরা একসাথে সুযোগ, বন্ধুত্ব ও যৌথ সফলতায় পরিপূর্ণ এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাই।”
দীর্ঘদিন ধরে এক্সপ্যাট ট্রাভেল ও টুরিজম প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ভ্রমণ ও কমিউনিটি সেবায় কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি ভবিষ্যতে আরও বেশি বাংলাদেশি পরিবারকে মালয়েশিয়ার উন্নত জীবনযাত্রা ও সুযোগের সঙ্গে যুক্ত করতে চায়, যাতে দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও গভীর ও স্থায়ী হয়।


