বাংলাদেশকে সহযোগিতার অঙ্গীকার ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন দেশটি নিযুক্ত বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় রাষ্ট্রপতি ভবন প্যালাসিয়ো প্ল্যানাওতোতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি পরিচয়পত্র পেশ করেন। এ সময় ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্লোস ফ্রান্সা-সহ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত সাদিয়াকে স্বাগত জানিয়ে প্রেসিডেন্ট জাইর বাংলাদেশ-ব্রাজিলের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধিকল্পে সব ধরনের সহযোগিতার অঙ্গীকার করেন। তিনি বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিশেষ করে কৃষিখাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন ।
ব্রাজিলকে পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে প্রেসিডেন্ট জাইর উল্লেখ করেন যে, বন্ধুপ্রতিম সকল দেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে নিরন্তরভাবে কাজ করছে তার প্রশাসন।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তি উপলক্ষে রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে বাংলাদেশের ১৮ কোটি বাঙালির প্রতি অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা ব্রাজিল-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির লগ্নে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানান।
রাষ্ট্রদূত সাদিয়া বাংলাদেশের নেতা শেখ হাসিনার বিচক্ষণতাপূর্ণ নেতৃত্বে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী উপস্থাপনকালে উল্লেখ করেন যে, মারকোসুরের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের অভিপ্রায়ে বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই আবেদন জানিয়েছে। এটি বাস্তবায়িত করতে প্রেসিডেন্ট জাইরের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের জন্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণ পৌঁছে দেন রাষ্ট্রদূত সাদিয়া।
এর আগে পরিচয়পত্র পেশের জন্য রাষ্ট্রপতি ভবন প্যালাসিয়ো প্ল্যানাওতোত পৌঁছালে সাদিয়া ফয়জুননেসাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
পরিচয়পত্র পেশে পর বাংলাদেশ দূতাবাসে ফিরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রদূত সাদিয়া।
পেশাদার কূটনীতিক ফয়জুন্নেসা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পররাষ্ট্র ক্যাডারের ১৮তম ব্যাচের সদস্য এবং তিনি ১৯৯৯ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন।
কূটনীতিক হিসেবে কর্মময় জীবনে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাতিসংঘ বিষয়ক মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া তিনি নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনে উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি, বার্লিন ও ব্যাংককের বাংলাদেশ মিশনে বিভিন্ন পদে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক উইংয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডেভেলপমেন্ট স্টাডি বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি (এমবিবিএস) ডিগ্রি অর্জন করেন।