ফ্লাইটে মরদেহের পাশে বসে ১৪ ঘণ্টা সফর বৃদ্ধ দম্পতির!
আকাশপথের যাত্রার অনেক রকম অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকেন যাত্রীরা। কিন্তু সদ্য যে বিভীষিকাময় সফরের সাক্ষী থেকেছেন অস্ট্রেলিয়ান দম্পতি তা এক কথায় কল্পনাতীত।
কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে চড়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু একজন মৃতের সহযাত্রী হিসেবে যে গোটা পথ পাড়ি দিতে হবে তা ভাবতে পারেননি তাঁরা।
মিচেল রিং এবং জেনিফার কলিন ছুটি কাটাতে ভেনিস যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন দু’জনে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে তাঁরা জানান, মেলবোর্ন থেকে দোহা যাওয়ার সময় তাঁদের পাশের আসনে একজন মহিলা মারা যান।
কেবিন ক্রুদের অনুরোধ করা হয়, দেহটি যেন অন্য কোথাও সরিয়ে নিয়ে রাখা হয়। কিন্তু তা তো নয়ই বরং সফরের বাকি চার ঘণ্টা কম্বল দিয়ে ঢেকে তাঁদের পাশেই রেখে দেওয়া হয়। অন্যদিকে বেশ কিছু আসন ফাঁকা থাকলেও মৃতদেহ সরানো হয়নি বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
কাতার এয়ারওয়েজ এই ঘটনায় ইতিমধ্যই ক্ষমা চেয়েছে। সংস্থার পক্ষে বলা হয়েছে ‘এই ঘটনার কারণে তৈরি যে কোনও অসুবিধা বা কষ্টের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী’। সংস্থা জানিয়েছে, যাত্রীদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। তবে ওই দম্পতির কথায়, কোনও রকম যোগাযোগ করা হয়নি কাতার এয়ারওয়েজ থেকে ।
বস্তুত, এহেন কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কিছু এয়ার লাইন্স মৃতদেহ রাখার জন্য বিমানে বিশেষ লকারের ব্যবস্থা করেছে।
অন্য বিমানে যতটা পারা যায় লোকচক্ষুর অন্তরালে রাখা হয় দেহ। কোনও যাত্রী আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লে বিমান সেবিকাদেরও প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ দেওয়া থাকে, তাঁরাই পরিস্থিতি সামাল দেন। অবস্থা বাড়াবাড়ি হলে কাছের কোনও বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করার নিয়ম রয়েছে।
সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ