এয়ার ইন্ডিয়ার ‘এআই-১১৭’ বিমানের দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও অম্লান। সেই ঘটনায় শেষ মুহূর্তে ‘মে ডে’ কল দিয়েও রক্ষা পাওয়া যায়নি। মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয় ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইটে। তবে এ বার পাইলটের দ্রুত সিদ্ধান্ত ও বিচক্ষণতায় প্রাণে রক্ষা পান ১৬৮ জন যাত্রী।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার। ভারতের আসাম রাজ্যের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে চেন্নাইগামী ইন্ডিগোর ৬ই-৬৭৬৪ (এয়ারবাস A320) উড্ডয়ন করে। গন্তব্য ছিল চেন্নাই।
সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে চেন্নাই বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করে বিমানটি। কিন্তু মাঝআকাশে অতিরিক্ত বিমান চলাচলের কারণে বারবার বাধার সম্মুখীন হয়। পরপর তিনবার অবতরণের চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
এদিকে বিমানটির জ্বালানি দ্রুত ফুরিয়ে আসছিল। বিপদের আশঙ্কায় পাইলট সঙ্গে সঙ্গেই জরুরি সিদ্ধান্ত নেন এবং ‘মে ডে’ কল পাঠিয়ে বিমানটিকে সরিয়ে নিয়ে যান বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকে। রাত ৮টা ২০ মিনিটে সফলভাবে জরুরি অবতরণ করে বিমানটি।
কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সূত্র অনুযায়ী, ‘মে ডে’ কল পাওয়ার পরপরই সক্রিয় হয় এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (ATC)। প্রস্তুত রাখা হয় মেডিকেল দল ও দমকল বাহিনী। সব যাত্রী এবং দুই পাইলট অক্ষত অবস্থায় বিমান থেকে নিরাপদে বেরিয়ে আসেন।
পরবর্তী সময়ে বিমানে জ্বালানি ভরিয়ে রাত ১১টা ২৫ মিনিটে যাত্রীদের নিয়ে বিমানটি রওনা দেয় চেন্নাইয়ের উদ্দেশে।
তবে, ইন্ডিগোর পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ‘মে ডে’ কল দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। তবে যেভাবে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে সম্ভাব্য এক বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে, তা পাইলটের উপস্থিত বুদ্ধির একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ


