পর্তুগালে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন

পর্তুগালে আলোচনা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কেককাটা আর সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরক প্রবাসীদের সম্মাননার মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।

১৭ মার্চ সকালে রাজধানী লিসবনে চ্যান্সারি প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রমের সূচনা করেন রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান ।

প্রবাসের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

Travelion – Mobile

বাংলাদেশ কমিউনিটির পেশাজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষে থেকেও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এ সময় জাতির পিতা, তার পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন।

বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র দেখছেন রাষ্ট্রদূত  দূতাবাস কর্মকর্তা ও প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতারা।
বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র দেখছেন রাষ্ট্রদূত দূতাবাস কর্মকর্তা ও প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতারা।

দিবসের আলোচনার শুরুতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পড়ে শুনানো হয় এবং প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।

Diamond-Cement-mobile

বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর আলোচনায় বক্তারা, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের লক্ষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরনণর উপর গুরুত্বারোপ করেন।

বঙ্গবন্ধুর কিশোর জীবনের মানবিক গুণাবলি ও শিশুদের প্রতি গভীর মমত্ববোধের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান বলেন, জাতির পিতার অনুকরণীয় আদর্শ বাঙালিদের নিরন্তর অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করবে। শৈশব থেকেই শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর দৃশ্যমান অকৃত্রিম ভালোবাসা পরিণত বয়সে তা মহান নেতার রাজনৈতিক দর্শন।

‘শিক্ষা-দীক্ষা-আদর্শে শিশুরা যেন উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সকল চেষ্টা করে গেছেন’, রাষ্ট্রদূত বলেন।

অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাস আয়োজিত শিশু কিশোরদের রচনা প্রতিযোগিতায় তিনটি পৃথক বয়সের ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।

এছাড়াও সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরক সেরা ১০ প্রবাসী বাংলাদেশিকে ‘রেমিট্যান্স সম্মাননা সনদ’ এবং তাদের মধ্যে শীর্ষ ৩ জনকে “অগ্রাধিকারভিত্তিক সেবা কার্ড” তুলে দেন রাষ্ট্রদূত।
বৈধপথে দেশে রেমিট্যান্স প্রেরণে উৎসাহ দিতে এ বছরই প্রথমবারের মতো ‘সম্মাননা সনদ’ চালু করে বাংলাদেশ দূতাবাস ।

সবশেষে নতুন প্রজন্মের প্রবাসী শিশু কিশোরদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনের কেক কাটা হয়।

প্রবাসের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!