ড্রিমলাইনার নিয়ে সতর্ক বিমান বাংলাদেশ : ফ্লাইটের আগে হচ্ছে সর্বোচ্চ ইন্সপেকশন

এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এছাড়াও এই ভয়াবহ দুর্ঘনার পর ফের আলোচনায় ড্রিমলাইনারের নিরাপত্তা নিয়ে বোয়িং-এর সাবেক কোয়ালিটি ম্যানেজার জন বার্নেটের অভিযোগ ও আশঙ্কা। ৩০ বছরেরও বেশি সময় বোয়িং এ কর্মরত বার্নেটে বলেছিলেন “আমি এমন কোনো ড্রিমলাইনার দেখিনি যেটাকে আমি নিরাপদ বলতে পারি।”

দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং নিজস্ব তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে বহরে থাকা ছয়টি ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এ বি এম রওশন কবীর জানান, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে বিমানের প্রকৌশল বিভাগ সব ড্রিমলাইনারের ইঞ্জিন ফুয়েল সিস্টেম, ইলেকট্রনিক ইঞ্জিন কন্ট্রোল, ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার, হাইড্রোলিক সিস্টেম, এয়ার কন্ডিশনিং এবং ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেমসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অংশের মান যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় টেস্ট ও ইঞ্জিন পাওয়ার অ্যাসুরেন্স চেক চালু করেছে।

Travelion – Mobile

তিনি জানান, বর্তমানে বিমানের বহরে চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ও দুটি ৭৮৭-৯ মডেলের উড়োজাহাজ রয়েছে, যেগুলো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রুটে চলাচল করে। প্রতিটি উড়োজাহাজের রক্ষণাবেক্ষণ নির্দিষ্ট ‘এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স প্রোগ্রাম’ অনুসারে পরিচালিত হয়। এই প্রোগ্রাম বোয়িংয়ের মেইনটেন্যান্স ডকুমেন্ট ও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (CAAB) অনুমোদিত নির্দেশনা অনুযায়ী তৈরি।

আগের খবর : ড্রিমলাইনার নিয়ে বোয়িংয়ের সাবেক কোয়ালিটি ম্যানেজারের আশঙ্কা ফের আলোচনায়

Diamond-Cement-mobile

রওশন কবীর আরও জানান, প্রতিটি রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম এক বা একাধিক টাইপ রেটেড প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয়। প্রতিটি টাস্ক শেষে প্রকৌশলীরা নির্ধারিত টাস্ক কার্ডে স্বাক্ষর করেন এবং কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স ইউনিট কর্তৃক যাচাই শেষে তা সংরক্ষণ করা হয়।

বিমান আরও জানায়, তারা এয়ারক্রাফট হেলথ ম্যানেজমেন্ট ও ইঞ্জিন হেলথ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে প্রতিটি ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের অবস্থা সার্বক্ষণিক রিয়েল-টাইমে মনিটর করছে। এতে কোনো সমস্যা দেখা দেওয়ার আগেই সতর্কতামূলক অ্যালার্ট পাওয়া যায় এবং তাৎক্ষণিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়।

উল্লেখ্য, গত ১২ জুন ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয় এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই-১৭১। বোয়িং ৭৮৭-৮ মডেলের উড়োজাহাজটিতে ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। দুর্ঘটনায় একজন বাদে সবাই নিহত হন।

এই ঘটনার পর ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (DGCA) দেশটির সব অপারেটরের অধীন ৭৮৭ সিরিজের বিমানগুলোর নিরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে। বিশেষভাবে জিইএনএক্স ইঞ্জিনচালিত ড্রিমলাইনারগুলোর অতিরিক্ত রক্ষণাবেক্ষণের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!