ডেনমার্কে শিশুদের নিয়ে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন

ডেনমার্কে ‘শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস, অদম্য আত্মবিশ্বাস’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল-এর ৫৮তম জন্মদিন স্মরণে শেখ রাসেল দিবস-২০২১ উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।

রাজধানী কোপেনহেগেনে দূতাবাস মিলনায়তনে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয় ডেনমার্কে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের শিশু কিশোররা। শিশুদের কলকাকলিতে মুখর হয়ে ওঠেছিল দূতাবাস প্রাঙ্গণ।

অনুষ্ঠানে ডেনমার্কের সরকারী-বেসরকারী ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশী, রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

Travelion – Mobile

ডেনমার্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দীকী দূতাবাস পরিবারের সদস্য ও অনুষ্ঠানে আগত শিশু কিশোরদের নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটেন। পরে তিনি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশু কিশোরদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন।

দূতাবাস আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিশু কিশোরদের পরিবেশনায় আবৃত্তি, ছড়া, গান উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করে।

Diamond-Cement-mobile

শহীদ শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আগে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করে শোনানো হয় এবং ক্ষণজন্মা শহীদ শেখ রাসেলের জীবন নিয়ে নির্মিত ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরষ্কার বিতরণ করেন ডেনমার্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দীকী
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরষ্কার বিতরণ করেন ডেনমার্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দীকী

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বাঙ্গালীর জাতিয়তাবোধের চূড়ান্ত স্বপ্নপূরণে জাতির পিতার অসীম আত্নত্যাগের কথা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন।

তিনি বলেন, ঘাতকদের ঘৃণ্য অপচেষ্টা সফল হয় নি, শেখ রাসেল মানবিক সত্তা হিসেবে আজো বেঁচে আছে আমাদের মাঝে। নতুন প্রজন্মের কাছে শেখ রাসেল এক ভালোবাসার নাম।

রাষ্ট্রদূত নতুন প্রজন্মের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বাধীনতার চেতনা প্রজ্বলিত করতে উপস্থিত সবাইকে উদাত্ত আহ্বান জানান।

সবশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এবং ১৫ই আগষ্টের সকল শহীদসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ ও বিভিন্ন স্বাধীকার আন্দোলনে আত্নত্যাগকারী শহীদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!