ওমানের হৃদয়ে, আল দাখিলিয়াহ প্রদেশের উঁচু পাহাড় ঘেরা শহর আল হামরায়, পর্যটনের এক নতুন যুগের সূচনা হতে যাচ্ছে। জেবেল শামস ওয়াটারফ্রন্ট প্রকল্প – একটি স্বপ্নযাত্রা, যেখানে প্রকৃতি, প্রযুক্তি ও পর্যটন মিলবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতায়।
এই প্রকল্পের আওতায় ৫০ লাখ ওমানি রিয়ালের বেশি মূল্যের ছয়টি নতুন বিনিয়োগ প্রকল্প উন্মুক্ত করা হয়েছে ‘তাতভীর’ প্ল্যাটফর্মে। বিস্তীর্ণ ৭০,০০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে গড়ে উঠছে: ৩ থেকে ৫ তারকা মানের রিসোর্ট, পরিবেশবান্ধব ট্যুরিজম ক্যাম্প, অ্যাডভেঞ্চার সেন্টার, কফি ফার্ম, ফলের খামার এবং একটি আধুনিক স্লাইডিং গেম স্পট।
প্রকল্পটি শুধু বিনোদন নয়, বরং শিক্ষার ক্ষেত্রেও অনন্য। থাকছে একটি ভূতাত্ত্বিক প্রদর্শনী কেন্দ্র, যেখানে অঞ্চলের শিলাস্তর, প্রাকৃতিক গঠন ও পরিবেশ বিষয়ক তথ্য তুলে ধরা হবে।
গভর্নর শেখ হিলাল বিন সাঈদ আল হাজারী জানিয়েছেন, প্রথম পর্বের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে, যার মূল লক্ষ্য অবকাঠামো গড়ে তোলা। আর দ্বিতীয় ধাপে থাকছে:
পাবলিক স্কয়ার, ওপেন এয়ার থিয়েটার, স্বাস্থ্যকর হাঁটার পথ, রিমোট ওয়ার্কস্পেস, ঝুলন্ত সেতু, কিয়স্ক, জিপ-ওয়্যার এবং একটি পাহাড়ঘেরা ক্যাফে।
এই প্রকল্পের মোট বিস্তৃতি প্রায় ১,৪৫,০০০ বর্গমিটার। বিনিয়োগ মূল্য আনুমানিক ১১ মিলিয়ন ওমানি রিয়াল, যার বার্ষিক প্রত্যাশিত আয় ১.২৬ মিলিয়নেরও বেশি। এখানকার ৫০০ আসনের থিয়েটার এবং শিক্ষামূলক কেন্দ্রগুলি ওমানের যুবসমাজ ও পর্যটকদের জন্য হবে এক আকর্ষণীয় গন্তব্য।
এই প্রকল্পটি ওমান ভিশন ২০৪০-এর স্পষ্ট প্রতিফলন। বেসরকারি খাতের শক্তিশালী অংশগ্রহণ, স্থানীয় কাঁচামাল ব্যবহারের অগ্রাধিকার এবং এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলির অন্তর্ভুক্তি – সবই জাতীয় অর্থনীতির ভবিষ্যতের ভিত্তি গড়ে তুলবে।
সবশেষে, এই প্রকল্প কেবল পর্যটন নয়, বরং এক সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতার কেন্দ্র – যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, জ্ঞানচর্চা, অ্যাডভেঞ্চার ও স্থানীয় সংস্কৃতির একত্র মিলন ঘটবে।
সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ