চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা বাড়াবে ফ্রান্স
চাকরি থেকে অবসরের বয়স দুই বছর বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে ফ্রান্সের সরকার। বর্তমানে ৬২ বছর বয়সে চাকরি থেকে অবসরে যান দেশটির নাগরিকেরা। তবে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সেই সীমা বাড়িয়ে ৬৪ বছর করার চিন্তা করছে সরকার। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রবাসের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ
পেনশনব্যবস্থায় সংস্কার আনা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। ২০১৭ সালে প্রথমবার যখন মাখোঁ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন, তখনই পেনশনব্যবস্থা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। তবে সেই সময় দেশটির নাগরিকদের একটি বড় অংশ এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিল। এরপর করোনার কারণে মাখোঁর এ চিন্তার বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। এখন দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে আবার সেই উদ্যোগ নিলেন মাখোঁ। কারণ, এই মেয়াদই তাঁর শেষ সুযোগ।
ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বর্নি বলেছেন, পেনশন খাতে পদ্ধতিগত জটিলতা এড়াতে পরিবর্তন দরকার। চলতি বছর থেকে অবসরের বয়স প্রতিবছরে তিন মাস করে বাড়ানো হবে। এর মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে ৬৪ বছরের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো হবে।
পেনশন খাত সংস্কারের অন্য প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে— ২০২৭ সাল থেকে সম্পূর্ণ পেনশন পেতে অন্তত ৪৩ বছর বয়সী হতে হবে, যা বর্তমানে ৪২ বছর আছে। পুলিশ কর্মকর্তা, কারাপ্রহরী, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারসহ যেসব সরকারি কাজ শারীরিক বা মানসিকভাবে কঠিন বলে মনে করা হয়, তাদের তাড়াতাড়ি অবসর নেওয়ার অধিকার বজায় থাকবে। এ ছাড়া রেল, বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাতের কর্মীদের জন্য অবসরের বিভিন্ন ধরনের যে বয়সসীমা ও অন্যান্য সুবিধা রয়েছে, সেগুলো বাদ দেওয়া হবে।
তবে দেশটির নাগরিকদের একটি বড় অংশ এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে। সাম্প্রতিক একটি জরিপে দেখা গেছে, ফ্রান্সের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে তাদের অবস্থানের কথা জানিয়েছ। এমনকি মাখোঁর দলের বেশ কয়েক সংসদ সদস্যও এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন। তাঁরা বলছেন, মাখোঁর এমন সিদ্ধান্তের কারণে গত সংসদ নির্বাচনে তাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন।
প্রবাসের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ
ফ্রান্সের সরকার বলছে, এই সংস্কারের মাধ্যমে পেনশন বাজেটের ভারসাম্য বজায় থাকবে। একই সঙ্গে ২০৩০ সালের মধ্যে বছরে ১ হাজার ৭৭০ কোটি ইউরোর মোট সঞ্চয় বাড়াবে। পাশাপাশি ৬০-৬৪ বছর বয়সীদের মধ্যে কর্মসংস্থানের হারও বাড়বে বলে মনে করে সরকার।