নিজেকে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট পরিচয় দিয়ে ছয় বছরে অন্তত ১২০টিরও বেশি ফ্লাইটে বিনা ভাড়ায় ভ্রমণ করেছেন এক ব্যক্তি।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সী টিরন আলেকজান্ডার ২০১৮ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পাঁচটি বড় এয়ারলাইনের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে এই কৌশলে ভ্রমণ করেছেন বলে আদালতের নথিতে জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আমেরিকান এয়ারলাইনস, ইউনাইটেড, স্পিরিট, ডেলটা ও সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইনস—এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে নিজেকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ফ্লাইট ক্রু পরিচয় দিয়ে অনলাইনে বিনামূল্যে ফ্লাইট বুক করতেন টিরন।
সাধারণত এই সুবিধা সংরক্ষিত থাকে কেবল বৈধ ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ও পাইলটদের জন্য। কিন্তু টিরন তৈরি করেছিলেন ৩০টিরও বেশি ভুয়া কর্মী ব্যাজ নম্বর ও নিয়োগ তারিখ—যা ব্যবহার করে নিজেকে প্রকৃত কর্মী হিসেবে দেখিয়ে দিতে সক্ষম হন।
আদালতে জানানো হয়, একমাত্র একটি এয়ারলাইনসের মাধ্যমেই টিরন অন্তত ৩৪টি ফ্লাইটে যাতায়াত করেন। প্রতিবার তিনি আলাদা ব্যাজ নম্বর ও নিয়োগ তারিখ ব্যবহার করে বুকিং দেন, যাতে কর্তৃপক্ষের সন্দেহ না হয়। নিজেকে পরিবহন নিরাপত্তা প্রশাসন (TSA)-এর প্রক্রিয়া অনুযায়ী যথাযথ তল্লাশির মধ্য দিয়ে উতরে নেন, ফলে সরাসরি নিরাপত্তা হুমকি তৈরি না হলেও পুরো প্রক্রিয়াটি ছিল স্পষ্ট প্রতারণা।
ফেডারেল জুরি টিরন আলেকজান্ডারকে ওয়্যার ফ্রড (ইলেকট্রনিক যোগাযোগ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা) এবং মিথ্যা পরিচয় দিয়ে সুরক্ষিত বিমানবন্দর এলাকায় প্রবেশের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে। এসব অপরাধে তাঁর সর্বোচ্চ ৩০ বছরের কারাদণ্ড, আড়াই লাখ ডলার পর্যন্ত অর্থদণ্ড এবং তিন বছরের পর্যবেক্ষণমূলক মুক্তির সাজা হতে পারে।
এই ঘটনা আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল—প্রযুক্তি যত উন্নতই হোক, তাতে যদি মানবিক নজরদারির ঘাটতি থাকে, তাহলে প্রতারণার ঝুঁকি থেকেই যায়। বিশেষ করে এভিয়েশন সেক্টরে কর্মী যাচাই ও অনুমতির ক্ষেত্রে আরও কঠোর ও সুসংহত প্রক্রিয়া এখন সময়ের দাবি।

সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ