কুয়েত প্রবেশে অন্য দেশে কোয়ারেন্টিনের বাধ্যবাধকতা বাতিলের প্রস্তাব

কুয়েতে ফিরতে যাত্রীদের অন্য দেশে কোয়ারেন্টিনের বাধ্যবাধকতা বাতিল করে দেশের বিমানবন্দরে যথাযথ পিসিআর পরীক্ষা এবং এক সপ্তাহের কোয়ারান্টিনসহ সকল স্বাস্থ্য সতর্কতা গ্রহণের মাধ্যমে প্রবেশ অনুমতির ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে দেশটি দুইটি বিমান সংস্থা। এভিয়েশন শিল্প, হোটেল, পরিবহন, রেস্টুরেন্ট এবং এসএমই খাতে প্রাণ ফেরাতে এমন প্রস্তাব বিমান সংস্থা দুটির।

সম্প্রতি দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী শেখ বাসিল আল-সাবাহর সাথে বৈঠক করে এই প্রস্তাব দিয়েছে কুয়েত এয়ারওয়েজ ও জাজিরা এয়ারওয়েজের কর্মকর্তারা ।

আরব টাইমস জানিয়েছে, প্রস্তাবে তারা করোনায় আরোপিত ৩৪ দেশ থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে সরাসরি ফ্লাইট চালুর দাবী জানিয়েছেন। এক্ষেত্রে যেসব দেশে করোনার প্রকোপ বেশি সেগুলোকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এবং যেগুলোতে কম সেগুলোকে কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করে তাদের যাত্রীদের দুভাগে ভাগ করে সে অনুযায়ী বিশেষ পদ্ধতি গ্রহণ করার আহ্বান জানান।

Travelion – Mobile

এক্ষেত্রে প্রস্তাব করা হয় উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো থেকে প্রবাসীদের তিন বার পিসিআর পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। প্রথমে তারা নিজ দেশ থেকে প্রস্থানের সময় একবার, এরপর কুয়েত বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর দ্বিতীয়বার এবং সবশেষে যাত্রীদের নিজ খরচে কোয়ারান্টাইন শেষে আরও একবার পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে।

কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর যাত্রীদেরকে এক্ষেত্রে দুইবার পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে। তাদের প্রস্থানের সময় নিজ দেশে একবার এবং দ্বিতীয়বার কুয়েত বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর পরীক্ষা করানো হবে।

আগের খবর : মাঝ আকাশে উড়ােজাহাজেই কুয়েতপ্রবাসীর মৃত্যু

কোয়ারান্টাইনের সময়কাল কমিয়ে এক সপ্তাহ করার জন্যও আহ্বান জানানো হয়েছে প্রস্তাবে। যদি পাঁচদিনের মধ্যে মেডিকেল রিপোর্টে কারও করোনা উপসর্গ দেখা দেয়, তবেই তাকে দুই সপ্তাহের কোয়ারান্টাইনে যেতে হবে।

প্রবাসীদের করোনা পরীক্ষা করার জন্য বিমানবন্দরে তাদের সোয়াব পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা হবে। পরে তা অনুমোদিত গবেষণাগারে পাঠানোর পাশপাশি যাত্রীদেরকে গৃহ বা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হবে। তবে কোয়ারান্টাইনের পদ্ধতিটি কিভাবে হবে তা এখনো পরিষ্কার নয় কারণ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সাথে এ ব্যাপারে আরো অনেক বিষয় আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন। তবে আলোচনায় নির্ধারিত হয়েছে যে, পিসিআর পরীক্ষা হোক বা কোয়ারান্টাইন সব ক্ষেত্রেই আর্থিক খরচ যাত্রীকারীদেরই বহন করতে হবে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অনুমোদিত গবেষণাগারে প্রতিদিন ৫ হাজার পরীক্ষা করার সক্ষমতা রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে প্রতিদিন ৫,০০০ যাত্রী আসবে এবং ৫,০০০ যাত্রী বিমানবন্দর ছাড়বে। যদি পরিকল্পনাটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত হয় তবে স্বাস্থ্য বিধি এবং প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী তা চালু হবে।

কুয়েত এয়ারওয়েজের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন আলি আল-দুখান জানিয়েছেন, কুয়েত এয়ারওয়েজ এবং জাজিরা এয়ারওয়েজ তাদের নির্ধারিত ভবনে ফ্লাইটে আসা ব্যক্তিদের জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা পরিচালনার জন্য একটি পরিকল্পনা জমা দিয়েছে।

কুয়েত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা কর্মীদের মাস্ক পরা, শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখা, জীবাণুনাশক ছড়ানো এবং বিমানবন্দর এবং বিমানের যাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য নির্দেশনা নিশ্চিত করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!