কুয়েত থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে একের পর এক বিমানসংস্থা
উপসাগরীয় অঞ্চলের বড় বড় বিমানবন্দর যখন যাত্রী ও কার্গো পরিবহনে রেকর্ড গড়ছে, তখন কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পড়েছে এক সংকটময় পরিস্থিতিতে। অর্থনৈতিক স্থবিরতা, দুর্বল অবকাঠামো ও সেবার মান নিয়ে অসন্তোষের কারণে একের পর এক আন্তর্জাতিক বিমানসংস্থা তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিচ্ছে কুয়েত থেকে।
আরব টাইমসের খবরে বলা হয়, মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে, ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কুয়েতে চলাচল করা ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ তাদের ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। এর আগে জার্মানির লুফথানসা ও নেদারল্যান্ডসের কেএলএম-ও কুয়েত থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়।
সব মিলিয়ে ইতোমধ্যেই ১৪টি আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের কার্যক্রম স্থগিত করেছে, যদিও তারা অন্যান্য উপসাগরীয় গন্তব্যে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
বিমান চলাচল খাত বিশ্লেষকরা বলছেন, কুয়েতের এই অবস্থার পেছনে রয়েছে কয়েকটি বড় কারণ—বিমানের জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধি, দোহা, দুবাই, আবুধাবি ও রিয়াদের মতো আধুনিক ও প্রতিযোগিতামূলক বিমানবন্দরের চাপে পড়া এবং কুয়েত বিমানবন্দরের সীমিত সুযোগ-সুবিধা ও যাত্রীসেবা।
২০২৪ সালে যাত্রী পরিবহনে উপসাগরীয় শহরগুলোর পরিসংখ্যানে দেখা যায় দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৯২.৩ মিলিয়ন যাত্রী, দোহা হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৫২.৭ মিলিয়ন, রিয়াদ বাদশাহ খালিদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৩৭.৬ মিলিয়ন যাত্রী, আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮.৭ মিলিয়ন এবং কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৫.৪ মিলিয়ন যাত্রী চলাচল করে।
যেখানে অন্য শহরগুলোতে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, সেখানে কুয়েত পিছিয়ে পড়েছে। গত বছর যেখানে কুয়েত বিমানবন্দর দিয়ে ১৫.৬ মিলিয়ন যাত্রী যাতায়াত করেছিল, ২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৫.৪ মিলিয়নে—এক শতাংশ হ্রাস।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে কুয়েতকে দ্রুততার সঙ্গে তাদের বিমানবন্দর অবকাঠামোতে আধুনিকায়ন, যাত্রীসেবার মানোন্নয়ন ও প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা চালু করতে হবে। তা না হলে, আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় কুয়েত আরও পিছিয়ে পড়বে।
সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ