কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করতে প্রস্তুত ওমানের বিমানবন্দরগুলো

ওমানে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গত মার্চ থেকে বন্ধ থাকা বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কোন সিদ্ধান্ত এখনও ঘোষণা করা হয়নি। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কমিটির ১১ তম সংবাদ সম্মলনে পরিবহনমন্ত্রী ডা. আহমেদ আল ফুটাইসি নিশ্চিত করেছেন যে, বিমান পরিবহন কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। এর আগে মন্ত্রী বলেছিলেন ধোফার এবং ডুকমে আরোপিত লকডাউনের কারণে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল শুরু বিলম্বিত করতে হচ্ছে।

তবে বেশিরভাগ এলাকায় লকডাউন তুলে নেওয়া এবং ৮০ শতাংশ বাণিজ্যিক কার্যক্রম খুলে দেওয়ায় ধারনা করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে সুখবর আসবে। এছাড়া দুদিন আগে ওমানের তেল খনিগুলোতে মাস্কাট থেকে আভ্যন্তরীণ ফ্লাইট আবার চালুর হওয়ায় সেই সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়েছে।

অন্যদিকে পরবর্তী পরিস্থিতিতে পুরোদমে কার্যক্রম চালুতে প্রস্তুত ওমানের বিমানবন্দরগুলো। এ জন্য সকল ধরণের পরিকল্পনা আর আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা হয়েছে বলে আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে ঘোষণা দিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

Travelion – Mobile

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কৌশলগত অংশীদারদের সহযোগিতায় ওমান বিমানবন্দরগুলো যাত্রীসেবা দিতে সব ধরণের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। কেবল আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন পেলেই তারা পুরোপুরি কাজ শুরু করবে। এখন তাই পাবলিক অথরিটি অফ সিভিল এভিয়েশনের যথাযথ নির্দেশিনা পাওয়ার অপেক্ষা।

আগের খবর : জুলাইয়ের শুরুতে বাংলাদেশে ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে ওমানের সালামএয়ার

ওমানের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘পাবলিক অথরিটি ফর সিভিল এভিয়েশন (প্যাকা)’ এর তত্ত্বাবধানে আন্তর্জাতিক মান এবং নিয়মকানুন কঠোরভাবে অনুসরণ করেই কার্যক্রম শুরু হবে।

প্রস্তুতি নিয়ে পরিবহন মন্ত্রী ড. আহমেদ বিন মোহাম্মদ আল ফুতাইসি দেশটির মিডিয়াকে ববলেন, ‘সুপ্রিম কমিটি মহামারির অগ্রগতি বিবেচনায় নিয়ে বিমান পরিবহন খাত চালুর ব্যাপারে ধীরে সুস্থে এগুচ্ছে। ফ্লাইট এবং বিমানবন্দর পরিচালনার জন্য সকল আনুষ্ঠানিকতা এবং প্রোটোকল সম্পন্ন হয়েছে এবং এক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশ বিমান পরিবহন চালুতে সমন্বিত পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে।

তিনি জানান, সুপ্রিম কমিটির অনুমোদন পেলেই বিমানবন্দরগুলো পুরোপুরি চালু হবে। নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করার জন্য স্ব-পরিষেবা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার উপর প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপের উপর জোর দেয়া হবে।
আগের খবর : অসহায় প্রবাসীর আর্তনাদ, কখন টের পাবে বাংলাদেশ!

বিমানবন্দরে কার্যক্রম শুরু হলে যেসব পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হবে তার মধ্যে রয়েছে টার্মিনালে ঢোকার আগে লাগেজ ট্রলি এবং যাত্রীদের স্যানিটাইজিং ডিভাইসের মধ্য দিয়ে আসতে হবে, মূল টার্মিনালে ঢোকার আগে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা, বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে জীবাণুমুক্তকরণ, বিমানবন্দরে জীবাণুমুক্ত সরঞ্জাম সরবরাহ, শারীরিক দুরত্বের স্টিকার বিতরণ, চেক-ইন কাউন্টারে কাঁচের প্রতিরোধক, স্ব-চেকিং সুবিধা এবং উপসর্গ আছে এমন যাত্রীদের বিমানবন্দরের ক্লিনিকে পাঠানো।

এয়ারপোর্ট কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল (এসিআই) বিমানবন্দরগুলিকে পুনরায় চালু করা এবং দীর্ঘমেয়াদে এ শিল্পের পুনরুদ্ধারে জরুরী সরকারি সহায়তা এবং অনুদানের আহ্বান জানিয়েছে।

এসিআই বলছে, ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী যাত্রী সংখ্যা কমেছে ৪.৬ বিলিয়ন যেখানে বিমানবন্দরগুলো রাজস্ব হারিয়েছে ৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও।

এসিআইয়ের দাবী, এই ক্ষতি সত্ত্বেও বিমানবন্দরগুলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সম্পদ সৃষ্টি এবং কর্মসংস্থানের গুরুত্বপূর্ণ একটি ক্ষেত্র হিসেবে রয়ে গেছে। বিমানবন্দরগুলো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিশ্বব্যাপী ৬১ লক্ষেরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে যা সারা বিশ্বের বিমান পরিবহন খাতের কর্মসংস্থানের ৬০ শতাংশ।

আগের খবর : ২৪ গন্তব্যে ফ্লাইট চালু করছে ফ্লাইদুবাই, বুকিং শুরু

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!