করোনায় ছাঁটাই নয়, কম বেতনে কর্মী বহাল রাখছে এয়ারএশিয়া

করোনাভাইরাসে লোকসানের সাথে পাল্লা দিলেও আপাতত কোন কর্মী ছাটাই করছে না এয়ারএশিয়া। উপরন্তু কর্মীদের সীমিত আকারে বেতন দেয়ার ব্যবস্থাও করেছে বাজেট এই বিমানসংস্থাটি।

প্রতিষ্ঠানটির দুঃসময়ের কথা বিবেচনা করে এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের বেতনের ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত কর্তনে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাহী টনি ফার্নান্ডেজ।

গেল শনিবার একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এ তথ্য দেন তিনি। তার পোস্টে তিনি আরো জানান,”আগে কখনো আমাদের এমন দুর্দিন আসেনি যদিও আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কোন কর্মীকেই আপাতত ছাটাই করা হবে না।”

Travelion – Mobile

ভয়াবহ করোনাভাইরাসের বিস্তারে বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ থাকায় এরমধ্যে লোকসানের মুখে অনেক নামী-দামী বিমানসংস্থা যার মধ্যে কিছু কিছু তাদের কার্যত্রম সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করেছে, কেউবা ছাটাই করেছে তাদের কর্মীদের।

ফার্নান্ডেজও তাঁর পোস্টে জানিয়েছেন, তিনি এবং প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী চেয়ারম্যান কামারুদ্দিন মেরানুন এমন সময়ে কোন বেতন নিবেন না। যদিও কর্মীরা তাদের জৈষ্ঠ্যতা ও পদবির ভিত্তিতে সাময়িকভাবে ১৫ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বেতন ছাড় দিতে রাজি হয়েছেন।

“এই আত্মত্যাগের জন্য আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই এবং ভবিষ্যতে তাদের এই লোকসানকে পুষিয়ে দেয়ার বিষয়টি মাথায় রাখছি”, ফার্নান্ডেজ বলেন ।

উল্লেখ্য বর্তমানে বিমানসংস্থাটি কোন মুনাফা পাচ্ছে না এবং গেল মার্চ এটির ৯৬ শতাংশ উড়োজাহাজ মাটিতেই পড়ে আছে। তাই এই পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ব্যয় কমানোর জন্য সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তবে এক্ষেত্রে জ্বালানি সরবরাহকারি বা লিজিং এজেন্টদের সাথে আর্থিক দেনা-পাওনার বিষয়টি চলমান আছে বলে জানায় এয়ারএশিয়া। গেল ২৭ মার্চ সংস্থাটি ২৮ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত তাদের সব ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করেছিল।

তবে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহি টনি ফার্নান্দেজ বাতিল হওয়া ফ্লাইটগুলোর জন্য গ্রাহকদের ক্রেডিট অফার গ্রহণের জন্য উৎসাহ দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, “আমরা গ্রাহকদের আন্তরিকভাবে আমাদের ক্রেডিট অফার গ্রহণের জন্য উত্সাহিত করছি। এর মাধ্যমে পরবর্তীতে আপনারা আপনাদের ফ্লাইটের সময়সূচি ইচ্ছেমত যেকোন সময় যতবার ইচ্ছে পরিবর্তন করতে পারবেন এবং এটি প্রযোজ্য থাকবে টানা এক বছর। আর রিফান্ডের ক্ষেত্রে আমরা কেস অনুযায়ি সকলকে টাকা ফেরত দেয়ার আবেদনও গ্রহণ করব।”

তবে আবেদন বেশি থাকায় রিফান্ডে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলেও জানান তিনি।

আমি বাড়ি আছি, তুমি বাড়ি থেকাে : চিরকুট

আমি বাড়ি আছি, তুমি বাড়ি থেকােজয় আসবে আমাদের, বিশ্বাস বুকে রেখোইউএনডিপির প্রযোজনায় চিরকুটের করোনা সচেতনতা সংগীত

Posted by AkashJatra on Monday, April 6, 2020

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!