ওমানে বিরল ও বিপন্ন বন্যপ্রাণীর অস্তিত্ব!

ওমানের পরিবেশ কর্তৃপক্ষের উন্নত পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তি ও সুসংগঠিত মাঠ জরিপের মাধ্যমে আল দাখিলিয়াহ গভর্নরেটে একাধিক বিপন্ন বন্যপ্রাণী প্রজাতির উপস্থিতি নথিভুক্ত হয়েছে। এই বিরল প্রজাতিগুলোর দৃশ্যমানতা কেবলমাত্র একটি পরিবেশগত সাফল্য নয়, বরং জাতীয় সংরক্ষণ প্রচেষ্টার ফলপ্রসূতা এবং স্থানীয় বাস্তুতন্ত্রের পুনরুজ্জীবনের এক স্পষ্ট প্রমাণ।

পর্যবেক্ষণে ধরা পড়েছে অ্যারাবিয়ান লিংক্সের উপস্থিতি—একটি মাঝারি আকারের বুনো বিড়াল, যা তার নিখুঁত শিকার কৌশল এবং অতুলনীয় লাফ দেওয়ার ক্ষমতার জন্য খ্যাত।

এ ছাড়াও, পাহাড়ি অঞ্চলের জন্য বিশেষভাবে অভিযোজিত একটি বিরল প্রজাতির ছাগল ‘অ্যারাবিয়ান তাহর’ এবং মরুভূমির চরম পরিবেশে টিকে থাকার জন্য প্রসিদ্ধ অ্যারাবিয়ান নেকড়ের অস্তিত্বও নিশ্চিত হয়েছে।

Travelion – Mobile

এই সাফল্য পরিবেশ রক্ষায় ওমান সরকারের দীর্ঘমেয়াদী উদ্যোগের ফল। পরিবেশগত ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখতে নেওয়া পদক্ষেপগুলোর ফলশ্রুতিতে আজ এই প্রজাতিগুলো আবারও ধরা দিচ্ছে ক্যামেরার লেন্সে।

Diamond-Cement-mobile

আল দাখিলিয়াহ গভর্নরেটের পরিবেশ বিভাগের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ সেলিম আল আমিরি জানান, “এই ফলাফল জাতীয় পরিবেশ কৌশলের অংশ হিসেবে পরিচালিত আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর পর্যবেক্ষণ ও মাঠ কার্যক্রমের সরাসরি ফল।” তিনি আরও বলেন, “এই অগ্রগতির পেছনে স্থানীয় সম্প্রদায়ের সচেতনতা এবং সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য সকলের নিয়ম মেনে চলা অত্যাবশ্যক, যাতে এই সম্পদ ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছেও পৌঁছায়।”

পরিবেশ কর্তৃপক্ষ বর্তমানে প্রাসঙ্গিক সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে পর্যবেক্ষণ ও সুরক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। পরিবেশগত টেকসইতা এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যে তারা একটি সমন্বিত ও বহুমাত্রিক প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছে।

এই উদ্যোগগুলো শুধু একটি অঞ্চল নয়, বরং সমগ্র দেশের পরিবেশগত চেতনাকে জাগ্রত করছে—একটি সবুজ ও প্রাণবন্ত ওমান গড়ে তোলার পথে যা অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে গোটা অঞ্চলের জন্য।

সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!