ইসরায়েলের দখলদারিত্ব : বিশ্বনেতাদের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে ক্ষোভ কাতারের

ফিলিস্তিনি ও আরব ভূখণ্ডে জবরদখল অব্যাহত রাখার ইসরায়েলি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় বিশ্বনেতাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কাতার। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে এ বিষয়ে তাঁদের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশটির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।

আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে চলা সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনে কাতার আমিরের ভিডিও ভাষণ প্রচারিত হয়। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের দখলদারি ও তার দখল করা ভূখণ্ডে অবৈধ ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে গৃহীত প্রস্তাবগুলো সব দেশ ও সংস্থা কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন শেখ তামিম।

ইসরায়েল ফিলিস্তিন–ইসরায়েল সংকটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রস্তাব ও এই সংকটের দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান নাকচ করে আসছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও নিষ্ক্রিয়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। ইসরায়েলি একগুঁয়েমির বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে তারা।

Travelion – Mobile

ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করে কাতারের আমির বলেন, দেশটি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রস্তাব ও এই সংকটের দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান নাকচ করে আসছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও নিষ্ক্রিয়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। ইসরায়েলি একগুঁয়েমির বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে তারা। তিনি আরও বলেন, আরব দেশগুলোর গৃহীত বিভিন্ন প্রস্তাব ও রূপরেখা এবং এগুলোর ভিত্তিতে নেওয়া ‘আরব শান্তি উদ্যোগের’ শর্তাবলির প্রতি ইসরায়েল পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলেই শুধু শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।

সৌদি আরবের উদ্যোগে ২০০২ সালে নেওয়া ওই শান্তি উদ্যোগে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলের দখলদারির অবসান, ১৯৬৭ সালের সীমানার ভিত্তিতে ও পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং ফিলিস্তিনি শরণার্থী সমস্যার সমাধানের বিনিময়ে ইহুদি রাষ্ট্রটির সঙ্গে আরব দেশগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কথা বলা হয়েছে।

কাতারের শাসক বলেন, ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার এই শর্তাবলি এড়িয়ে যাচ্ছে। দেশটি যাতে এসব শর্ত বিবেচনায় নেয়, সেই লক্ষ্যে কোনো পদক্ষেপ না নিলে শান্তি অর্জিত হবে না। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন এ বিষয়ে নিজেদের আইনি দায়বদ্ধতা পূরণ করে। একই সঙ্গে জোরজবরদস্তির বদলে আন্তর্জাতিক প্রস্তাবের আলোকে গ্রহণযোগ্য সমঝোতার মধ্য দিয়ে শান্তিপ্রক্রিয়াকে ঠিক পথে ফিরিয়ে আনা ও ইসরায়েলকে গাজা থেকে অবরোধ প্রত্যাহারে বাধ্য করার আহ্বান জানান তিনি।

ইরানবিরোধী জোটের অংশ হিসেবে গত ১৫ সেপ্টেম্বর দুই আরব দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও বাহরাইন সম্পর্ক স্বাভাবিককরণে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি সই করে। হোয়াইট হাউসে এ চুক্তি সই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!