নির্ধারিত সময় ছিল ৯০ দিন। কিন্তু আড়াই বছর চলে গেছে। এ সময়ের মধ্যেও সংযুক্ত আরব আমিরাত বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি।
নির্ধারিত সময়সীমা ছিল ৯০ দিন। কিন্তু আড়াই বছর অতিক্রান্ত হলেও এখনও সংযুক্ত আরব আমিরাত বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। ফলে দলের স্থানীয় কার্যক্রমে স্থবিরতা ও নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর কেন্দ্রীয় বিএনপি আমিরাত শাখার ৫১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয়। জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক এবং ৩ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে গঠিত ওই কমিটির অনুমোদনপত্রে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষর করেন।
পত্রে বলা হয়, নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি ৯০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবে। তবে শর্ত ছিল, আহ্বায়ক পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সভাপতি হতে পারবেন না। কিন্তু সেই সময়সীমা বহু আগেই পেরিয়ে গেছে। দীর্ঘদিনেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় প্রবাসী নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আহ্বায়ক জাকির হোসেন বলেন, “খুব তাড়াতাড়ি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। এটি আর দীর্ঘায়িত হবে না।”
তিনি দাবি করেন, কোনো জটিলতা নেই, বরং আমিরাতের আইনকানুন, জুলাই-আগস্ট মাসের নানা প্রতিবন্ধকতা ও নিয়ন্ত্রিত রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়েছে।
অন্যদিকে, প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দীন বলেন, “আমি আশাবাদী—দলীয় নির্দেশনা ও নেতৃবৃন্দের সুচিন্তিত মতামতের ভিত্তিতে খুব শিগগিরই একটি সুন্দর ও শক্তিশালী পূর্ণাঙ্গ কমিটি উপহার দেওয়া সম্ভব হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাংলাদেশি প্রবাসী জনগোষ্ঠী সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাস করছে। তাদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাসী। তাই তাদের সংগঠিত রাখা এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার জন্য শক্তিশালী ও সক্রিয় কমিটি গঠন জরুরি।”
তিনি জানান, বর্তমানে আমিরাতে নয়টি প্রদেশে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি রয়েছে এবং রাজনৈতিক কার্যক্রমে স্থবিরতা বিরাজ করছে। তবে ভবিষ্যতে সঠিক নেতৃত্ব ও কেন্দ্রীয় দিকনির্দেশনার মাধ্যমে এসব প্রদেশে নতুন কমিটি গঠন করে আমিরাতে জাতীয়তাবাদী দলের শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তোলার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ


