আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল দিবস আজ। ১৯৯৬ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে গৃহীত এক সিদ্ধান্তে সদস্য দেশগুলোকে প্রতি বছর ৭ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল দিবস পালনে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানায়।
যদিও এর আগে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (আইকাও) ৭ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল দিবসের ঘোষণা দেয়। ১৯৯৪ সালে আইকাওয়ের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বছর প্রথম দিবসটি পালন করা হয়।
এ বছর আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলা দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয হ’ল: “বিশ্ব সংযোগের ৭৫ বছর”।
দিবসটি উপলক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সব বিমানবন্দরে সচেতনতামূলক নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে বিমানবন্দরগুলোতে ব্যানার টানানো ও সেবার মান নিয়ে বিভিন্ন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
এ উপলক্ষে আগামীকাল রোববার (৮ ডিসম্বর) বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বিমানবন্দরে সেবার মান সম্পর্কে বিভিন্ন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে কৃর্তপক্ষের সূত্রে জানা গেছে।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সচেতনতামূলক ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
শাহ আমানত বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারোয়ার-ই-জামান আকাশযাত্রাকে বলেন,’সচেতনতামূলক ব্যানার ফেস্টুন টাঙ্গানো ছাড়াও বিমানবন্দরের সেবার মান নিয়ে যাত্রীদের মতামত নেওয়া হচ্ছে এবং সে হিসেবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।’
আইকাওয়ের কাজ হচ্ছে বিশ্বব্যাপী বেসামরিক বিমান চলাচলকে সুবিন্যস্ত, সম্প্রসারণ ও নিরাপদ করা। এ ছাড়া বেসামরিক বিমান চলাচলের জন্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, বিমানের নকশা অনুমোদন, বিমানবন্দর ও বিমান চলাচলের বিকাশ ঘটাতে উৎসাহ দেওয়ার কাজও করে আইকাও।
সংস্থাটি তার ১৮৫টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার মাধ্যমে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে সুরক্ষা ও নিরাপত্তাকে। দেশে দেশে বেসামরিক বিমান চলাচলের মাধ্যমে বন্ধুত্ব ও সমঝোতা সৃষ্টিই আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল দিবসের উদ্দেশ্য।